নলেজ শেয়ার

আকাশে উড়ে গেলো হাওরের পানিঃ কি ঘটেছিলো হাকালুকিতে?

প্রকাশ: জুলাই ২৭, ২০২২ ০৮:৫৫ AM

ধরুণ, ভরা বিল থেকে পানি আকাশে উঠে যাচ্ছে, সেই পানি আবার বাষ্প হয়ে শূন্যে মিলিয়ে যাচ্ছে; এমন দৃশ্য কিন্তু খালি চোখে দেখা প্রায় দুঃসাধ্য! কিন্তু এমনই এক দৃশ্য এবার দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। যে দৃশ্য হাকালুকি হাওরের মানুষ দেখে স্থম্ভিত হয়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে তা এখন গণমাধ্যমে ভাইরাল। সেই দৃশ্যের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, যেন বিল থেকে পানি মোটা পাইপ দিয়ে কেউ শূন্যপানে টেনে নিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই ভিডিওতে সয়লাব।

হাকালুকির এই ঘটনা অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এবং তাদের অনেকে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। হাকালুকিতে ঘুরতে গিয়ে Md Mosfiqur Rahman Sakib নামের এক ব্যক্তিও দেখা পায় এই ঘটনা যার ছবি এবং ভিডিও তিনি নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় এখানে, এখানে, এখানেএখানে

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে ঘটনাটিকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করে। আবার কেউ এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলছে।

ভাইরাল ভিডিওতে থাকা এই দৃশ্যের উদ্ভব মূলত কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে চারদিকে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। অনেকে বলছেন গায়েবী কিছু আবার অনেকেই ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে বর্ণণা দিচ্ছেন। বিভ্রান্তি নিরসনে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে টিম চেক ফ্যাক্ট।

অনুসন্ধানঃ

শুরুতে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘটনাটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এর বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা আছে। টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়ের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। সেই স্থলভাগের টর্নেডো যখন জলরাশিকে স্পর্শ করে, তখন প্রবল ঘূর্ণিবায়ুর টানে ফানেলাকৃতি নিয়ে পানি উঠে যায় মেঘের দিকে, যা অনেকটা হাতির শুঁড়ের মত দেখায়। ইংরেজিতে একে বলে ‘ওয়াটার স্পাউট’। আর বাংলাতে বলা হয় জলস্তম্ভ টর্নেডো।

 

ওয়াটার স্পাউট বা জলস্তম্ভ টর্নেডো কি?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (NWS) এর তথ্য মতে,  ওয়াটার স্পাউট (water spout) বলতে বায়ু ও জলীয় বাষ্পের ঘূর্ণায়মান কলামকে বোঝানো হয়। এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটিকে বলা হয়, ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পাউট। অন্যটিকে টর্নেডিক ওয়াটারস্পউট।

টর্নেডিক ওয়াটারস্পউট হলো এক ধরনের টর্নেডো, যা পানির উপর তৈরি হয় বা ভূমি থেকে সৃষ্ট হয়ে পানিতে চলে যায়। স্থলজ টর্নেডো ও এই ওয়াটারস্পাউটের বৈশিষ্ট্য একই। টর্নেডিক ওয়াটারস্পাউটগুলো সত্যিকারের টর্নেডোর মতো শুরু হয়। প্রচণ্ড বজ্রঝড়ের সাথে যুক্ত বাতাস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, বায়ু উলম্ব অক্ষের উপর উঠে এবং ঘোরে। টর্নেডিক ওয়াটারস্পাউটগুলি সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মক ধরণের হয়।

ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পাউট

অপরদিকে ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পাউট সাধারণত বিকাশমান কিউমুলাস (মেঘের নানা প্রকারের মধ্যে একটি) মেঘের একটি লাইনের অন্ধকার সমতল ভিত্তি বরাবর গঠিত হয়। এই ধরনের ওয়াটারস্পাউটের সময় বজ্রবৃষ্টি বা বজ্রঝড় হয় না। ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পাউট খুব কমই বিপজ্জনক। যে মেঘগুলি থেকে তারা নেমে আসে সেগুলি দ্রুত গতিশীল নয়, তাই ন্যায্য আবহাওয়ার জলস্রোতগুলি প্রায়শই স্থির থাকে। একটি ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটার স্পাউট পানিরপৃষ্ঠে বিকশিত হয় এবং উপরের দিকে উঠে। ফানেল আকৃতিটি দৃশ্যমান হলে এই ধরনের ওয়াটার স্পাউটগুলো বিকাশ লাভ করতে থাকে।  ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পউট হালকা বাতাসেই তৈরি হয়। তাই তারা সাধারণত খুব কম নড়াচড়া করে। এই ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পউটগুলো যখন মাটিতে বা পানির উপরিভাগে গিয়ে পড়ে তখন দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যায়। 

এই বিষেয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘হাকালুকি হাওরে আকাশ থেকে নেমে আসা ফানেল আসলে কী? শিরোনামের  প্রতিবেদনে বিস্তারিত বর্ণ্না রয়েছে। 

যেখানে আবহাওয়া অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়,

হাকালুকি হাওরে ছোট আকারের টর্নেডোর দৃশ্য দেখা গেছে; অন্য কিছু নয় এটা যেখানে বায়ুমণ্ডলের চাপ কম তাপমাত্রা বেশি থাকে, সেখানে শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয় সময় চারদিক থেকে আসা বাতাসের কারণে ওই স্থানে ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয় প্রবল বেগে মেঘের সঙ্গে বাতাস নিচের দিকে নামতে থাকে তখন দেখতে অনেকটা ফানেলের মতো লাগে এটাই টর্নেডো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রকম ঘটনা ঘটছে।  

 

কেন হয় জলস্তম্ভ?

 

বায়ুমণ্ডলে বাতাসের তাপমাত্রা ভূমির উপরিভাগের তুলনায় কম থাকে। গরম আবহাওয়ায় ভূপৃষ্ঠের কাছের বাতাস দ্রুত উপরে উঠে গেলে আর্দ্র বায়ুর সংস্পর্শ পায়। তখন গরম বাতাস দ্রুত ঠাণ্ডা হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে সৃষ্টি হয় বজ্রমেঘ বা কিউমুলোনিম্বাস। কিউমুলোনিম্বাস হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত, ভারি বর্ষণ, শিলাবৃষ্টি, দমকা-ঝড়ো হাওয়া, এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে। সেই টর্নেডো যখন ফানেল আকারে ঘূর্ণায়মান মেঘের কুণ্ডলী নিয়ে ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে এগিয়ে যায়, তখন ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বা আরো বেশি বেগের ঝড় বয়ে যেতে পারে।

এই বিষয়ে বিডি নিউজ ২৪ নিউজ পোর্টালের   ‘ভরা বর্ষায় হাকালুকির জলস্তম্ভ ভাবাচ্ছে আবহাওয়াবিদদেরও  শিরোনামের এক প্রতিবেদনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন,

শনিবার হাকালুকি হাওরে যেটা হয়েছে, সেটা টর্নেডো অনেক সময় স্থানীয়ভাবে বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা উপরের দিকে উঠে যায়; আশপাশের ঠাণ্ডা বাতাস তখন দ্রুত বেগে ওই খালি স্থানের দিকে ছুটতে থাকে তখন টর্নেডোর সৃষ্টি হয় আর সেই টর্নেডো জলের স্পর্শে এলে তৈরি হয় ফানেল ক্লাউড

হাকালুকি হাওরে জলস্তম্ভ হওয়ার কারণ?

ওয়াটারস্পাউট বা জলজ টর্নেডো সৃষ্টির জন্য প্রকৃতিকে চারটি আবশ্যকীয় শর্ত পূরণ করতে হয় জানিয়ে এ আবহাওয়াবীদরা, বায়ুর উচ্চ তাপমাত্রা, বায়ুতে পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি, বায়ু প্রবাহের দিক ভূপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন দিকে ও প্রাকৃতিক বা যান্ত্রিক বলের উপস্থিতি থাকতে হয়। শনিবার হাকালুকি হাওরে উপরোক্ত চারটি শর্তই উপস্থিত ছিল। যেহেতু গত মাসের বন্যার পর থেকে পুরো বাংলাদেশে খুবই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে তাই বায়ুর তাপমাত্রা অনেক বেশি রয়েছে। এক সপ্তাহ পূর্বে দেশের আকাশ ছিল প্রায় মেঘমুক্ত ও দেশের উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ অতিক্রম করেছে। ফলে সিলেটের হাওর এলাকার পানির তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি। শনিবার সিলেট বিভাগের ওপর বায়ু বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হচ্ছিল।

যেমন ভূপৃষ্ঠ থেকে এক কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ু প্রবাহিত হচ্ছিল দক্ষিণ দিক থেকে। এক থেকে দুই কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ু প্রবাহিত হচ্ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে। দুই থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ু প্রবাহিত হচ্ছিল পূর্ব দিক থেকে। ভূপৃষ্ঠে বায়ুচাপ থাকে সর্বোচ্চ ও ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ু চাপ কমতে থাকে। সেই সঙ্গে বায়ুর মধ্যে ঘর্ষণ বলও কমতে থাকে। ফলে ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যাবে বায়ু তত বেশি গতিতে প্রবাহিত হতে থাকবে। কোনো স্থানে যখন বায়ু বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয় ও একই সময়ে বিভিন্ন উচ্চতায় বায়ুর গতিবেগ ভিন্ন হয়, তখন ওই স্থানের বায়ুর মধ্যে ঘূর্ণি সৃষ্টি হয়।অনেক সময় স্থানীয়ভাবে বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা উপরের দিকে উঠে যায়।  আশপাশের ঠাণ্ডা বাতাস তখন দ্রুত বেগে ওই খালি স্থানের দিকে ছুটতে থাকে। তখন টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। আর সেই টর্নেডো জলের স্পর্শে এলে তৈরি হয় ফানেল ক্লাউড বা জলস্তম্ভ।

এই বিষয়ে জাগো নিউজে হাকালুকির আকাশে জলকুণ্ডলী আসলে কী ছিল? শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

জলস্তম্ভ প্রবণ এলাকাঃ

বিশ্বের বেশ কিছু জায়গাতের এই জলস্তম্ভ হয়ে থাকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেট লেকস অঞ্চলে এবং পূর্ব ও দক্ষিন উপকূলীয় জলভাগে; বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশে এবং চীন সমুদ্রে গ্রীষ্মকালে কখনো কখনো জলস্তম্ভের সৃষ্টি হয়।

জলস্তম্ভ

তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই জলস্তম্ভের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে বিবিসি ও সিএনএন এর মত গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর কিউবাতে বিশাল জলস্তম্ভের ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে টর্নেডো জলস্তম্ভঃ

 

সাধারণত কোন স্থানে নিম্নচাপ বা লঘুচাপ সৃষ্টি হলে ওই স্থানের উষ্ণ বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এবং তখন ওই শূন্য জায়গা পূরণের জন্য চারদিকের শীতল বাতাস দ্রুত বেগে ধাবিত হয়। কালবৈশাখীর মতো এভাবেই টর্নেডোর উৎপত্তি হয়।টর্নেডো হচ্ছে বাতাসের ভর, যা একটি ঘূর্ণি আকারে উচ্চ কৌণিক বেগে তৈরি হয়। এর এক মাথা থাকে পৃথিবীর পৃষ্ঠে, অন্য অংশ থাকে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের ভেতর। অল্প সময়ের জন্য তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় গতিপথে যা পড়ে, সব কিছু নিজের ভেতর টেনে নিতে থাকে এবং ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। এই সময় যা কিছু পথে পড়ে, সব কিছু ভেঙ্গেচুরে টর্নেডো এগোতে থাকে।

হাকালুকি হাওরে ওয়াটারস্পউট ঘটার কারণ নিয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বিবিসি বাংলা‘কে জানিয়েছেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে হাওরের পানির ওপরের তাপমাত্রা কমে ওপরে উঠে যাওয়ার কারণে সেখানে টর্নেডোর তৈরি হয়েছে। সেই সময় আশেপাশের শীতল হাওয়া সেই শূন্যতা পূরণ করতে আসায় একটি ঘূর্ণির তৈরি হয়। এর ফলে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা তার।’

তাছাড়া বাংলাদেশের হাওর এলাকা ও বঙ্গোপসাগরে এই জলস্তম্ভ দেখা যায়।

 

 

মূলত, আবহাওয়া বিরূপ আচরণের কারণে আকাশ হতে হাওরে সৃষ্ট ফানেল বা জলস্তম্ভ কিংবা আকাশে পানি উঠে যাওয়ার যে ঘটনা সম্প্রতি হাকালুকি হাওরে ঘটেছে সেই ঘটনাটি ওয়াটারস্পউট। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কম পরিচিত হওয়ায় অনেকে এটিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। এটিকে অনেকে জলোচ্ছ্বাস বা এলিয়েন সংশ্লিষ্ট ঘটনা দাবি করলেও মূলত এটি টর্নেডিক ওয়াটারস্পাউট।

সুতরাং, সিলেটে হাকালুকি হাওরের আকাশে পানি ওঠা বা জলস্তম্ভ সৃষ্টির ঘটনাটি কোনো জলোচ্ছ্বাস কিংবা এলিয়েনের অস্তিত্ব বিষয়ক ঘটনা নয় বরং এটি একটি টর্নেডিক ওয়াটারস্পাউট।

মন্তব্য (0)


দুঃখিত ! কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

বিপদ দেখলেই উটপাখির বালিতে মাথা লুকানোর দাবিটি সত্য নয়
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ ০৩:৩৬ PM
টাকার বিপরীতে কেনো বাড়ছে ডলারের দাম?
আগস্ট ০৫, ২০২২ ০৩:২৭ PM