সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবি ও উক্তি সম্বলিত একটি গ্রাফিক্স কন্টেন্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য যা সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে বলেছেন। কোন তথ্যসূত্র ছাড়াই দাবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এর সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে নামে টিম চেক ফ্যাক্ট।
ভাইরাল তথ্যঃ
৪ মার্চ ২০২৩ Mazibul Hoque নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গ্রাফিক্স কন্টেন্টটি পোস্ট করা হয় যেখানে লেখা ছিলো,
অতি জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন দেশের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা; অন্যথায় অচিরেই নষ্ট হয়ে যাবে দেশের যুব সমাজ এবং বাংলাদেশ ভারতের রাজ্যে পরিণত হবে। এখন আমাদের প্রয়োজন দলবল নির্বিশেষে গনতন্ত্র পূণ উদ্ধারের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরা। অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বাজিয়ে-মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা
একই দাবিতে ফেসবুকে আরো কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে
চেক ফ্যাক্ট অনুসন্ধানঃ
অনুসন্ধানের প্রথম ধাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন কোন বক্তব্য দিয়েছেন কিনা জানতে কী-ওয়ার্ড সার্চ করলে কোন গণমাধ্যমে এরকম কোন সংবাদ বা প্রতিবেদন খুঁজে পায়নি টিম চেক ফ্যাক্ট। পাশাপাশি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও টুইটারেও এমন কোনো বক্তব্যের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি টিম চেক ফ্যাক্ট।
তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টার এর অফিশিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পায় টিম চেক ফ্যাক্ট যেখানে ভাইরাল গ্রাফিক্সটি পোস্ট করে লেখা হয়,
নিম্নে উল্লেখিত উদ্ধৃতিটি যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে প্রচারিত।
অর্থাৎ, ইউনূস সেন্টারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বক্তব্যটিকে ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করা হয়।
পরবর্তীতে অধিকতর নিশ্চিতের জন্য টিম চেক ফ্যাক্ট ইউনূস সেন্টারে যোগাযোগ করলে তারা এটিকে মিথ্যা ও গুজব বলে নিশ্চিত করে।
সুতরাং উপরোক্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বলা যায় যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা গ্রাফিক্সটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাই আগে সত্য জানুন, তারপর প্রচার করুন।
মন্তব্য (0)
দুঃখিত ! কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি